সরেজমিনে ও পাবনা আতাইকুলা থানা সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার অন্তর্গত বৃহস্পতিপুর বাজারের গো-খাদ্য ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সূর্য এর ছেলে মুসা তার দোকানের কর্মচারীকে সাথে নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের আতাইকুলা বাজার শাখায় টাকা জমা রাখতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মানুষের ভীরে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পাবনা জেলা ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি রুহুল আমিনসহ আরো ৪ ছিনতাইকারী (আতাইকুলা ডেমরা রোড) বাজার সংলগ্ন ব্রীজ থেকে ব্যবসায়ী মুসা ও কর্মচারীকে এলোপাতারি ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে টাকার ব্যাগ এবং চেক ছিনিয়ে নেয়।এ সময় ব্যবসায়ী মুসার চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করায় ব্যাগ ফেলে রেখে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি রুহুল আমিন ও তার সংগীয়রা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে, ব্যাগে থাকা ৫লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও ৭ লক্ষ টাকার চেকের মধ্যে সেখান থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা (প্রায়) নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ বিষয়ে ছিনতাই এর স্বীকার মুসা আতাইকুলা থানায় এসে অভিযোগ করলে মুহুর্তেই সৎ ও সাহসী ওসি নাসিরুল আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আতাইকুলা থানার বৃহস্পতিপুর গ্রামে অভিযানা চালিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন এবং তার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা রানা মৃধা ও তার মামা শিপনকে আটক করে পুলিশ।
ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আও’লীগের সভাপতি আবু ইউনুস আমাদের এই প্রতিবেদককে জানান, ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গীয়ে এই রুহুল আমিন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আলম জানান, “ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান এই ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে তাদের হাতে নাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলাম। এদিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ব্যবসায়ীর ছেলে মুসাকে পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমীন ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় অনেক অপকর্ম করে যাচ্ছিল। অবশেষে সে গ্রেফতার হওয়ায় আনন্দিত তারা এবং তার কঠোর সাজা প্রত্যাশা করেন ।
অন্যদিকে এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
0 Comments