
মালয়েশিয়ার সিনিয়র মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের
মন্ত্রী ইসমাইল সাবরির ঘােষণা মতে আজ ভাের
থেকে শুরু হয়েছে অবৈধদের বাছাই করে আটকের
প্রক্রিয়া। কুয়ালালামপুরের অভিবাসীদের হট স্পট
খ্যাত জালান মসজিদ ইন্ডিয়া, মুন্সী আবদুল্লাহ রােড
এবং তুংকু আবদুল রহমান রােডের আশেপাশে বসবাসরত কয়েকশ বিদেশিকে ভবন থেকে বের করে লাইনে দাঁড় করিয়ে বাছাই করে আলাদা করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন বিভাগের নেতৃত্বে সরকারি অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে এই গণ অভিযানটি সকাল সাড়ে ৮ টায় শুরু হয়েছিল এবং ইমার্জেন্সি মুভমেন্ট কন্ট্রোল আদেশের (পিকেপিডি) অধীনে উল্লেখিত তিনটি রাস্তাযর আশেপাশের ভবন গুলোতে ফোকাস করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি স্বনামধন্য গণমাধ্যমের সমীক্ষায় দেখা যায় উক্ত অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মোট ৩০০ জন সদস্য অংশ নিয়েছে। তবে মালয়েশিয়ার কোন মিডিয়াকে অভিযান চলাকালীন সময়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বা ঐ এলাকার কাছাকাছি থাকতে দেয়া হয়নি। তবে যতদূর বোঝা গেছে যে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) কুয়ালালামপুর এবং রয়েল মালয়েশিয়ার পুলিশ, মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী (এটিএম), স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় (এমওএইচ), মালয়েশিয়ার সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (এপিএম) এবং মালয়েশিয়ার স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ (আরইএলএ) নেতৃত্বে এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিল।
এদিকে অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯ /৬৩ এর অধীনে অভিবাসীদের অপরাধের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা। অভিযানের মুল কেন্দ্র হচ্ছে সিটি ওয়ান প্লাজা ভবন এবং জালান মসজিদ ইন্ডিয়ার চিহ্নিত ভবনগুলো, যেখানে অবৈধদের বসবাসের তথ্য রয়েছে। উল্লেখ এই ভবন গুলোতে এর আগে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল এবং সবাইকে করোনা টেস্ট করা হয়েছিল।
0 Comments