কো’ভিড-১৯ করো’নাভাই’রাসের প্রা’দুর্ভাব ঠে’কাতে চ’লমান মুভমে’ন্ট কন্ট্রোল অ’র্ডার (এমসিও) চ’লতি মাসের ৯ জুন পর্যন্ত রাখার ঘো’ষণা দিলেও ৪ মে থেকেই পর্যায়ক্র’মে বি’ধিনি’ষেধ তু’লে নিয়েছে দেশটির সরকার।দেশটিতে চ’লমান ল’কডা’উনের মধ্যেই অ’বৈধ অভিবা’সীদের আ’টক অ’ভিযানে নেমেছে দেশটির অ’ভিবাসন বিভাগ।
গত কয়েকদিনে রাজধানী কুয়ালালামপুরের উপক’ণ্ঠে অভি’যান চা’লিয়ে প্রায় ৭’শ অ’ভিবাসীকে আট’ক করা হয়েছে। এদিকে, এই দু’রবস্থার মধ্যে অ’বৈধ অভিবা’সীদের বি’রুদ্ধে ধ’রপা’কড় অ’ভিযান না চা’লাতে সরকারের প্রতি আ’হ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়ার বার কাউ’ন্সিলের সভাপতি সেলিম বশির ভাস্করান,
তিনি জানান, অ’বৈধ অ’ভিবাসীদের আট’ক করে যে ডিটেন’শন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে ওই পরিবেশে সামাজিক দূ’রত্ব ব’জায় রাখা ক’ঠিন হয়ে প’ড়বে। এতে করে ডি’টেনশন ক্যাম্পগুলোতে ভা’ইরাসের বি’স্তারের উচ্চ ঝুঁ’কি তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, এভাবে আ’টক অ’ভিযান অব্যা’হত থাকলে অ’বৈধ অ’ভিবাসীদের মধ্যে ক’রোনার উপস’র্গ দেখা গেলেও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভ’য়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসবে না। গ্রে’ফতার আ’তংকে তারা চারপাশে গিয়ে গো’পন আশ্রয় খুঁ’জবে।
এমন পরি’স্থিতিতে সরকারের উ’চিত অ’বৈধ অ’ভিবাসীদের প্রতি আরও ন’মনীয় হওয়া এবং তাদের অবৈ’ধ অভিবা’সী হিসেবে অ’বহেলার চোখে না দেখে কো’ভিড-১৯ এর টেস্ট পরী’ক্ষা নি’শ্চিত করে টে’কসই স’মাধানের আ’হ্বান জানিয়েছেন তিনি। এক্ষে’ত্রে সাধারণ ক্ষ’মার সুযো’গ এবং তাদেরকে বৈধ হওয়ার হওয়ার ক’র্মসূচি আ’ওতায় আনা উচিত।এদিকে একই বিষয়ে আ’ন্তর্জা’তিক মানবা’ধিকা’র সংস্থা ও মালয়েশিয়ার স্থানীয় মান’বাধি’কার সংস্থা তেনা’গানি’তাসহ বেশির ভা’গ সংস্থাগুলোর ত’রফ থেকে বারবার একই দা’বী জানানো হয়েছে।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. নূর হিশাম আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, এই পর্যন্ত ২২ হাজার ৩৩৯ জনের বেশি বিদেশি ক’র্মীর ক’রোনা প’রীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯৮৬ জনের বেশি প্রবাসীর ক’রোনা পজিটিভ ধ’রা প’ড়েছে। দেশটিতে ৪ জনের বেশি বিদেশি ক’র্মী ক’রোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা গেছেন।
এছা’ড়া দেশটিতে ৬ মে রাজধানী কুয়ালালামপুরের আমপাং এলাকার একটি নি’র্মাণাধী’ন ভবনে প্রায় ৪’শ নির্মাণ শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করতে একদল মেডিকেল টিম ও অ’ভিবাসন বিভাগের পুলিশ উপস্থিত হয়।এদের মধ্যে ১৪৫ জন অভিবা’সীর করো’না টে’স্ট নেয়ার পর ফলাফল পাওয়ার আগেই পুলিশের চোখকে ফাঁ’কি দিয়ে ওই ভ’বন থেকে পা’লিয়ে গেলেও ১১ জনের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আ’টক করেছে দেশটির অ’ভিবাসন বিভাগ।
এর মধ্যে ২৮ জনের ক’রোনার ল’ক্ষণ পাওয়ায় তাদের হাসপাতালে পাঠা’নো হয়েছে এবং বাকিদের হোস্টেলের হোম কো’য়ারেন্টা’ইনে রাখা হয়েছে।বর্তমানে দেশটিতে বৈধ বিদেশি শ্র’মিক রয়েছেন প্রায় ২৫ লাখ। তবে এই সংখ্যা ছা’ড়াও অনিব’ন্ধিত আরও অনেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে বসবাস করেন বলে কর্তৃপ’ক্ষের ধা’রণা।